• শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪২৮
‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করাই আমার লক্ষ্য’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

সাক্ষাৎকার

‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করাই আমার লক্ষ্য’

  • প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

দক্ষিণবঙ্গের স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিদ্যায়তনটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারতাজ সাজিদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক অর্জন সম্পর্কে জানতে চাই—

ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশের জন্য তৈরি করা হয়েছে মুক্তমঞ্চ। নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক ভিডিও কনফারেন্স রুম ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়াম। স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি। নির্মাণকাজ শেষে চালুর অপেক্ষায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও চালু হয়েছে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। শিক্ষকদের জন্য চারতলা আবাসিক ভবনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পেনশন আইন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি আইন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়েছে। চাকরি বিধানমালা শেষ পর্যায়ে। খেলার মাঠের চারদিকে আরসিসি বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে হাজিরা দেওয়ার ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)।

শিশু দিবাযত্ন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ—

বরিশাল বিদ্যালয়ে আমরা শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র চালু করেছি। এছাড়া আড়াই বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য প্রি-স্কুলিং চালু করা হয়েছে, যেখানে খেলার ছলে শিশুরা বিভিন্ন বিষয়ে শিখতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এখানে কাজ করবে।

নতুন কী কী বিভাগ খোলা হয়েছে?

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে খোলা হয়েছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিজ্ঞান বিভাগ। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হচ্ছে পরিসংখ্যান এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ। চালু করা হচ্ছে সেন্টার ফর মর্ডান ল্যাংগুয়েজ।

ছাত্রছাত্রীদের সহপাঠ কার্যক্রম বিকাশে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন?

ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমেও সমান সক্রিয়। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও রোভার স্কাউটের কার্যক্রম চালু আছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ধূমপান ও মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ডিবেটিং সোসাইটি, আইটি সোসাইটি, বাঁধন ইত্যাদি সক্রিয় রয়েছে।

শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাই-

শিক্ষকরা পাঠদানের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রমেরও যুক্ত। আমরা এতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছি। গবেষণা অনুদান দেওয়া হচ্ছে, চালু করা হয়েছে জীবনানন্দ দাশ গবেষণাকেন্দ্র।

নতুন বছরে আপনার কী কী পরিকল্পনা রয়েছে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া ও ল্যাবরেটরি চালু করা হবে। নির্মাণাধীন শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছাত্রী হল ও দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কাজ শেষ করে উদ্বোধন করা হবে। ক্যাম্পাসের সৌন্ধর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ বৃক্ষ। বেতন প্রদান ও লাইব্রেরিতে অটোমেশন পদ্ধতি চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একাডেমিক ভবন-২ থেকে উপাচার্য বাসভবন পর্যন্ত সেমি পাকা কানেক্টিং করিডোর তৈরির কাজ চলছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চাই। ছয়তলা বিশিষ্ট নতুন ডিজাইনের একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। খেলার মাঠে গ্যালারি নির্মাণ, বিদ্যালয়ের ভূমি উন্নয়ন ও বালু ভরাটকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ড্রেন নির্মাণেরও পরিকল্পনা আছে। পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এক হাজার আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম ও জিমনেসিয়াম নির্মাণ করা হবে। নেট হাউজ ও বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করা হবে। শিক্ষার্থীদের সাঁতার কাটার জন্য সুইমিং পুলের আদলে পুকুর সংস্কার করা হবে। নির্মাণ করা হবে দৃষ্টিনন্দন প্রবেশদ্বার। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করাই আমার লক্ষ্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads